এ সাইটের মাধ্যমে একেবারে কোন দিন শেয়ার ব্যবসা করেননি এমন লোকেরাও জানতে পারবেন কিভাবে শেয়ার ব্যবসা শুরু করতে হবে। যারা বুঝেশুনে দীর্ঘ সময়ের জন্য শেয়ার কিনে রাখেন তারা বিনিয়ােগকারী। এরা কম দামে শেয়ার কিনে দীর্ঘ সময় পর প্রায় দ্বিগুন দামে বিক্রী করেন। প্রকৃতপক্ষে অন্যদের চেয়ে এরাই ভাল লাভ করেন। যারা প্রতিদিন শেয়ার কেনা বেচা করেন তারা মূলত শেয়ার ব্যবসায়ী বা ট্রেডার । এরা শেয়ার কিনে ম্যাচিউড হলেই সামান্য লাভে বিক্রী করে দেন।
শেয়ার ব্যবসায় এদের সংখ্যা প্রায় ৭০%। আর যারা কোম্পানীর মৌল ভিত্তি না বুঝে আন্দাজে শেয়ার কেনা বেচা করেন, তারা এক ধরনের জুয়ারী। মনে রাখরেন শেয়ার ব্যবসা কোনক্রমেই জুয়া খেলা নয়। শেয়ার বাজারে বিনিয়ােগ করে লাভ যেমন হয়, তেমনি লােকসানও হতে পারে । শেয়ার ব্যবসাটা একটা বিশ্লেষনধর্মী বুদ্ধির ব্যবসা। আর সে কারনেই এটা খুবই সম্মানজনক একটা ব্যবসা-কোন সন্দেহ নেই। আপনি যদি শেয়ার ব্যবসা করার মনস্থ করে থাকেন, তাহলে শেয়ার সম্পর্কে আপনাকে যথেষ্ট জানতে হবে। এ জানার জন্যে আপনাকে কোন গ্রাজুয়েশন নিতে হবে না বা বড় কোন ডিগ্রীধারীও হতে হবে না। প্রাতিষ্ঠানিক কোন ডিগ্রীর প্রয়ােজন এখানে নেই। প্রয়ােজন শুধু অভিজ্ঞতার । কি জানতে হবে সে সম্পর্কে এ সাইটে কিছুটা ধারনা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
Table of Contents
শেয়ার এবং স্টকের মধ্যে পার্থক্যঃ
যদিও এই দুটো শব্দকে একই অর্থে ব্যবহার করা হয়, তথাপি এদের মধ্যে পার্থক্য আছে। কোন কোম্পানীর মুলধনকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমান অংশে বিভক্ত করা হয়। এগুলাে শেয়ার। এই শেয়ারকে আর ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করা যায় না। কয়েকটি শেয়ার একত্রে হয় ষ্টক। ষ্টককে ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত
করা যায়। কিন্তু শেয়ারকে তা করা যায় না। বিদেশে শেয়ার মার্কেট বলে না, বলে স্টক মার্কেট। যেহেতু আমাদের দেশে ষ্টক মার্কেটের চেয়ে শেয়ার মার্কেট নামটাই বেশী প্রচলিত, তাই বুঝার সুবিধার্থে আমরা শেয়ার মার্কেটই বুঝবাে।
শেয়ারবাজারে আপনি ব্যক্তিগতভাবে যেভাবে লাভবান হতে পারেনঃ
১। আইপিও হতে মুনাফা অর্জনের মাধ্যমে : প্রতি নিয়তই অনেক নতুন কোম্পানী আমাদের শেয়ার বাজারে যুক্ত হচ্ছে প্রাথমিক শেয়ার পাবার জন্যে আইপিও ফরম পূরন করে নির্দিষ্ট টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে আইপিও লটারীতে অংশ নিতে পারেন। লটারী পেলে এক লট শেয়ার আপনার বিও একাউন্টে জমা হয়ে যাবে। এ শেয়ার উচ্চ দামে বিক্রি করে আপনি লাভবান হতে পারেন।
২। নগদ লভ্যাংশ: কোম্পানীগুলাে এজিএম করে শেয়ারের উপর নগদ ঘােষনা করে থাকে। আপনি ঐ শেয়ার কিনে থাকলে কোম্পানীর ঘােমিন লভ্যাংশ পেতে পারেন।
৩। বােনাস শেয়ার প্রাপ্তি : কোন কোন কোম্পানী কখনাে কখনাে লভ্যাংশের পরিবর্তে বােনাস শেয়ার ইস্যু করে থাকে।
৪। মূলধনী আয়: কম দামে শেয়ার কিনে বেশী দামে বিক্রী করে আপনি লাভবান হতে পারেন। এর জন্যে চাই যথেষ্ট অভিজ্ঞতা। এ সংক্রান্তে এ সাইটে ধীরে ধীরে বিস্তারিত আলােচনা করা হবে।
৫। কোম্পানীর মালিকানা: যে কোম্পানীর যতটুকু শেয়ার আপনি কিনেছেন, ঐ কোম্পানীর ততটুকু সম্পদের মালিক আপনি। কোম্পানীর কতেক অংশের মালিক। হিসাবে সাধারন বার্ষিক সভায় যােগদানের ও ভােট প্রয়ােগের অধিকারী আপনি। এ শেয়ার ব্যাংকে জমা রেখে ঋণও নিতে পারেন ।
সেকেন্ডারী মার্কেটে যেভাবে ব্যবসা শুরু করবেনঃ
আই,পি,ও লটারীতে অংশ নেয়া হচ্ছে প্রাথমিক মার্কেট। মুল ষ্টক মার্কেট হলাে সেকেন্ডারী মার্কেট। এটাই চ্যালেঞ্জিং মার্কেট। এ বইটা। তাদের জন্যে। আপনার যদি একটা ব্যাংক একাউন্ট থাকে এবং যে কোন ব্রোকার হাউজে যদি একটা বি,ও একাউন্ট থাকে, তাহলে আপনি অনায়াসেই সেকেন্ডারী মার্কেটে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। নিম্নোক্তভাবে শেয়ার এনালাইসিস করে লট হিসাব করে অর্ডার দিন।
এবং নির্ধারিত মূল্যের একখানা ক্রস চেক দিয়ে আসুন। পরদিন কনফার্মেশন লেটার চেয়ে নিন। দাম বাড়লে সেল করে দিন। একইভাবে কনফামে লেটার চেয়ে নিন। এই কনফার্মেশন লেটারে আপনার সব হিসাব দেয়া থাকবে। টাকা তুলে নিতে চাইলে ব্রোকার হাউজে রিকুইজিশন ফরম পুরন করে আসুন। পরদিন তারা আপনাকে নির্ধারিত টাকার চেক দিয়ে দেবে। ঐ চেক আপনার ব্যাংক একাউন্টে জমা দিয়ে টাকা তুলে নিবেন। এভাবেই লেনদেন হয়।
কোন শেয়ার স্পটে থাকলে তা কেনার জন্যে ক্যাশ টাকা দিতে হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার কেনার ৩ কার্য দিবস পর অথাৎ ৪র্থ দিন বিক্রী করা যায় । ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার কেনার ১০ কার্য দিবস পর বিক্রী করা যায়। কোন শেয়ার স্পটে থাকলে ১ দিন পরই তা বিক্রী করা যায়।